অভিমানী বিধায়কের বাড়িতে হাজির দলের মুখপাত্র : ঐক‍্য ফেরাতে উদ‍্যোগ

13th November 2020 1:53 pm হুগলী
অভিমানী বিধায়কের বাড়িতে হাজির দলের মুখপাত্র : ঐক‍্য ফেরাতে উদ‍্যোগ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে গতকাল হঠাৎ ই পদত‍্যাগ পত্র বিধানসভার অধ‍্যক্ষের কাছে জমা দেন হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না । যদিও সন্ধ‍্যার পরে সব বিরোধ মিটে আপাতত পরিস্থিতি শান্ত । পরবর্তী পদক্ষেপ কোন দিকে যায় তার দিকে নজর রয়েছে সকলের ই । এর মধ‍্যে শুক্রবার হরিপালের বিদ্রোহী বিধায়কের বাড়িতে হাজির হন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল । বেশ কিছুক্ষন তাদের মধ‍্যে আলাপ আলোচনাও হয় । গতকাল প্রবীর ঘোষাল জানিয়েছিলেন , তিনি বারবার বেচারাম মান্নাকে বুঝিয়েছিলেন । কিন্তু কোনো কিছু না শুনেই সে চলে যায় পদত‍্যাগ পত্র নিয়ে । অবশেষে রাজ‍্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর ধমক খেয়ে পরিস্থিতি র বদল ঘটে । এদিন প্রবীর ঘোষাল সোজা চলে আসেন বেচারাম মান্নার বাড়িতে । এরপর কি হয় ঘটনা সেটাই দেখার । রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বনাম বেচারাম মান্নার দ্বৈরথ কোন পর্যায়ে হাজির হয় তার দিকে কৌতুহল সকলের । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।